

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সাতক্ষীরায় একদিনে পানিতে ডুবে চার শিশুসহ পাঁচজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কলারোয়ার কেড়াগাছি গ্রামে দুই বছরের ইরফান খাঁ ডোবায় পড়ে মারা যায়। শ্যামনগরের চন্ডিপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর ফয়সাল হোসেনের নিথর দেহ ডোবা থেকে উদ্ধার হয়।
সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের এল্লারচরে এক শিশুর মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। আশাশুনির বড়দলে দেড় বছরের শিশু ঈশিতা পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়।
কালিগঞ্জের নলতার ইন্দ্রনগরে ১৯ মাস বয়সী লামিসা খাতুন পুকুরে পড়ে মারা যায়।
সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিষদের আহ্বায়ক আশেক-ই-এলাহী বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে হাজারো শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা প্রতিরোধযোগ্য। তিনি গ্রামীণ এলাকায় পুকুর-ডোবা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা বলেন, বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটে অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে। তিনি শিশুদের একা বাইরে খেলতে না দেওয়া, পানি সংলগ্ন জায়গায় সতর্ক থাকা এবং সিপিআরসহ প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে সবাইকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ১৭ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। দেশের মোট শিশুমৃত্যুর প্রায় ২৮ ভাগই এ কারণে ঘটে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সাঁতার শেখানোর মাধ্যমে এসব মৃত্যুর বড় অংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন