রবিবার
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ব্যতীত এই দেশ কেউ চালাতে পারবে না: নুরুল হক নূর

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২২ পিএম
গলাচিপা বিএনপি কার্যালয়ে দলটির একাংশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নুরুল হক নূর
expand
গলাচিপা বিএনপি কার্যালয়ে দলটির একাংশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নুরুল হক নূর

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, দেশের বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে রাষ্ট্রকে স্থিতিশীলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, জাতীয় সংকট কাটিয়ে দেশকে স্থিতিশীল পথে ফিরিয়ে আনতে হলে আগামী দিনে বিএনপিকেই ক্ষমতায় আনতে হবে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে গলাচিপা বিএনপি কার্যালয়ে দলটির একাংশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নুরুল হক নূরকে বিজয়ী করতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

নুরুল হক নূর বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর আলোচনা চলছে। গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি—এমন বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

সময় এলেই সবকিছু স্পষ্ট হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তারেক রহমানের নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা প্রকাশ করে নূর বলেন, তার সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছে, তা এখনই প্রকাশ্যে আনার প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে একটি আন্তরিক রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নিলেও কিছু অরাজনৈতিক শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতে নতুন আন্দোলন সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে-যা রাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের সংকট ডেকে আনতে পারে।

নুরুল হক নূর বলেন, সম্প্রতি তাদের আন্দোলনের এক সাহসী কর্মী ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সারা দেশে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার রেশ ধরে দেশের দুটি শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ হলে রাষ্ট্র পরিচালনা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন হলেই সংকটের সমাধান হবে—এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে যে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের অঙ্গীকার করা হয়েছিল, তা আগামী পাঁচ বছরে একটি স্থিতিশীল সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর মূল লক্ষ্য হবে দেশের উন্নয়ন, নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ ও বিনিয়োগবান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরা।

নুরুল হক নূর আরও বলেন, ব্যক্তিগত প্রাপ্তি বা দল কতটি আসন পেল-এসব বিষয় তাদের কাছে মুখ্য নয়। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থ রক্ষাই তাদের প্রধান অগ্রাধিকার। সে কারণেই কোনো ধরনের ভাগ-বাটোয়ারার প্রশ্ন নেই। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- আগামী দিনে বিএনপিকেই রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার কবির। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নুরুল হক নূর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং বিএনপি তাকে সমর্থন দিয়েছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত—এটি সবাইকে মেনে নিতে হবে। মনোনয়ন নিয়ে কারো ব্যক্তিগত কষ্ট থাকতেই পারে, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক বা অশোভন মন্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X