

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নারায়ণগঞ্জে প্রার্থনা, কেক কাটা ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত সাধু পৌলের গির্জা এবং কালীরবাজার এলাকার ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। উৎসবকে ঘিরে দুটি গির্জায়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
উৎসবে অংশ নেওয়া হ্যালেন বিশ্বাস দিয়া বলেন, “এই দিনে যিশু খ্রিস্ট মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তি দিতে পৃথিবীতে এসেছিলেন। বড়দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমরা যিশুর কাছে মনের সব প্রার্থনা তুলে ধরি।”
তিনি বলেন, দেশ, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবার মঙ্গল কামনা করেছি। বিশেষ করে পরীক্ষার ফল ভালো হওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছি।
প্রার্থনা শেষে আরেকজন আগত দর্শনার্থী বলেন, “আজ আমরা আনন্দিত হলেও বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না থাকায় গত বছরের মতো বড় পরিসরে আনন্দ-উল্লাস করতে পারিনি।”
সাধু পৌলের গির্জার ফাদার বিপুল ডেভিড দাস পাল বলেন, যিশু খ্রিস্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন শান্তি, ভালোবাসা ও ক্ষমার বার্তা নিয়ে। এই দিনে আমরা সবার জন্য সেই ভালোবাসা ও শান্তির শুভেচ্ছা জানাই।
শঙ্কার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার কয়েকটি গির্জা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনার কারণে সবার মধ্যেই কিছুটা ভীতি কাজ করেছে। তবে সব প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বড়দিন উদযাপন করেছি।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে সাধু পৌলের গির্জা পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী।
জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির বলেন, ধর্মীয় চর্চা যত সুন্দরভাবে হবে, সমাজে শান্তিও তত বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্ম আমাদের জ্ঞান, শিক্ষা ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। আমরা চাই সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলুক।
মন্তব্য করুন

