শুক্রবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে সরবরাহ থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি শীতকালীন সবজি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
শীতকালীন সবজি
expand
শীতকালীন সবজি

শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও ময়মনসিংহে দাম কমেনি। বরং গত এক সপ্তাহে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সোনালি কক মুরগির দাম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকেই পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচায় ব্যস্ত বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি দামে।

বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে করলার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করলা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা ৪০, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি শিম ৪০, টমেটো ৫০, কাঁচামরিচ ৫০, দেশি গাজর ৩০, গোল বেগুন ৪০, মটরসুটি ১২০, চিকন বেগুন ৩০, কাঁচা পেঁপে ২৫ ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৫০ টাকা পিসে এবং কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির পাশাপাশি সোনালি কক মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকায় উঠেছে। তবে ব্রয়লার মুরগি ১৬০, সাদা কক মুরগি ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। রুই ৩২০–৪২০, কাতলা ৩৪০–৪৪০, মৃগেল ২৬০–৩৩০, পাবদা ৩৯০–৫২০, শিং ৩৪০–৬৪০, ট্যাংরা ৫১০–৭৮০ ও শোল ৫৯০–৬৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, শীতকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম কমছে না। বিক্রেতারা যে দাম বলছেন, সেই দামেই কিনতে হচ্ছে।

মুরগি কিনতে আসা আরেক ক্রেতা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় তিন কেজি সোনালি কক মুরগিতে ৩০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বাজারে নিয়মিত তদারকি না থাকায় বিক্রেতারা সুযোগ নিচ্ছেন।

সবজি বিক্রেতা আবুল মিয়া বলেন, বাজারে কিছু সবজির দাম বেড়েছে, তবে ক্রেতা কমেনি। সবাই একই দামে বিক্রি করছেন।

মুরগি বিক্রেতা আব্দুল হক বলেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়ে সামান্য বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, কিছু বিক্রেতা সুযোগ বুঝে দাম বাড়ান। বাজারে নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X