

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ, বিষকা, বোকাইনগর, গৌরীপুর জংশন, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ি, নান্দাইল রোড, মশুল্লি ও নীলগঞ্জ এই ঐতিহাসিক রেলস্টেশনগুলো একসময় মানুষের যাতায়াত, বাণিজ্য ও সংস্কৃতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিল। বহু গল্প, উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্রেও উঠে এসেছে এসব স্টেশনের নাম।
এক সময় এ রেলপথ দিয়ে নিয়মিত ১২টি ট্রেন চলাচল করত এবং প্রতিটি স্টেশনেই ছিল যাত্রাবিরতি। বিশেষ করে নান্দাইল ও আশপাশের দুই উপজেলার মানুষের প্রধান ভরসা ছিল নান্দাইল রোড রেলস্টেশন। ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেশন দিয়ে ধান, পাট, চালসহ নানা পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হতো। যাত্রীকোলাহল আর পণ্যবাহী ট্রেনের ঢকঢক শব্দে স্টেশনটি ছিল প্রাণবন্ত ও ব্যস্ততম।
কিন্তু সময় পাল্টে গেছে। এখন এই রেলপথে মাত্র একটি আন্তঃনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করলেও স্টেশনে আর থামে না কোনো ট্রেন। ফলে একসময়ের ব্যস্ততম নান্দাইল রোড স্টেশন আজ প্রায় পরিত্যক্ত ও নীরব চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজয় এক্সপ্রেস প্রতিদিন চোখের সামনে দিয়ে ছুটে গেলেও সেটি তাদের কোনো কাজে আসে না। অথচ নান্দাইল চৌরাস্তা বাসস্টেশন থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী প্রায় ৩০টি বাস যাতায়াত করে—যা রেলসেবার তুলনায় ব্যয়বহুল এবং কম নিরাপদ বলে মনে করেন তারা।
স্টেশনে কর্মরত স্টেশন মাস্টার জানান, ২০২৩ সাল থেকে স্টেশনের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে সীমিত আকারে পণ্য উঠানামা হলেও তা যাত্রীসেবার বিকল্প নয়। ফলে পুরো স্টেশন এলাকা এখন প্রায় জনশূন্য ও নির্জন।
এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি নান্দাইল রোড স্টেশনকে দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। তারা চান, ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনরায় চালু করা এবং স্টেশনের আগের জৌলুস ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের জরুরি উদ্যোগ।
মন্তব্য করুন
