মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যায় মামলা দায়ের

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
খুলনায় জোড়া হত্যায় মামলা দায়ের
expand
খুলনায় জোড়া হত্যায় মামলা দায়ের

খুলনায় আদালতের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজন হত্যা মামলায় নিহত দুই পরিবারের কেউ মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আজ বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এ জোড়া হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, দুই পরিবারের কেউ মামলা না করায় খুলনা থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মো. মিয়ারব হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, অজ্ঞাতনামা ১৫–১৬ জন আসামি পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫৪ ধারায় আটক রিপন শেখ হত্যায় জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তার পরিবার ও নিহত হাসিব হাওলাদারের ছোট ভাই সুমন হাওলাদার। বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।

রিপন শেখের স্ত্রী আখি দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনার দিন রিপন শেখ ফকিরহাটের ফলতিতা পাইকারি মাছের বাজারে মাছ কিনতে গিয়েছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যখন খুলনা আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড ঘটে, তখন রিপন ওই বাজারেই ছিলেন- সংবাদ সম্মেলনে তার ভিডিও ফুটেজও প্রদর্শন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১ ডিসেম্বর রাতে নগরীর নতুন বাজার চরের নিজ বাসা থেকে সদর থানা পুলিশ রিপনকে আটক করে। পরবর্তীতে পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, ৩০ নভেম্বর খুলনার আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় রিপন অংশ নিয়েছিল। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, রিপন ওই সময় ফকিরহাটের ফলতিতা বটতলা বাজারে ছিল। সে আদি বাগেরহাট মৎস্য আড়তে মাছ কেনার কাজে ব্যস্ত ছিল। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। তিনি রিপনের মোবাইল লোকেশান যাচাই বাছাই এরও দাবি জানান। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর একজন নিরীহ মৎস্য ব্যবসায়ীকে পুলিশ কর্তৃক এভাবে হত্যা মামলায় ফাসানোর চেষ্টা অত্যন্ত দূঃখজনক। তিনি অবিলম্বে রিপন শেখের মুক্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওই দিন (৩০ নভেম্বর) নিহত হাসিবের ভাই সুমন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। তিনি দাবি করেন রিপন শেখ তাদের পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ট। সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। তার ভাই এর হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য পুলিশ নিরীহ রিপন শেখকে আটক করে কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সুমন হাওলাদারও রিপনের মুক্তির দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত হাসিবের ছোট ভাই সুমন হাওলাদারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রিপন শেখের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X