

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মাদক ও মানবপাচার রোধে টেকনাফ সীমান্তজুড়ে ‘কমব্যাট অ্যালার্ট’ ঘোষণা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ বিজিবির বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ক্লাস্টার’ টানা কয়েক দিন ধরে চলছে। এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার এবং মানবপাচারের শিকার ১৩ ভুক্তভোগীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবির সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতভর টেকনাফের জাহাজপুরা ও আশপাশের সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি ধানক্ষেতে লুকানো অবস্থায় ১৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মানবপাচারের মাধ্যমে মিয়ানমার সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
একই সঙ্গে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বড় বস্তার ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৩৪ লিটার দেশীয় চোলাই মদ জব্দ করে বিজিবি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৩৫) এবং জাহাজপুরা গ্রামের মো. হামিদের ছেলে মো. জয়নাল (২০)।
২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “মাদক ও মানবপাচার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। সীমান্ত এলাকায় এখন ‘কমব্যাট অ্যালার্ট’ জারি রয়েছে। যেকোনো মূল্যে এই অপরাধচক্রের শেকড় উপড়ে ফেলতে বিজিবি সর্বোচ্চ প্রস্তুত।”
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে এবং আটক দুই আসামির বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও মানবপাচারের অন্যতম রুট হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তের অস্থিরতা ও রোহিঙ্গা শিবিরকেন্দ্রিক নেটওয়ার্কের কারণে পাচারকারীরা নতুন কৌশলে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। এ প্রেক্ষাপটে বিজিবির এই বিশেষ অভিযানকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন