

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে মাদকের পাশাপাশি দেশে ঢুকছে বিদেশি অস্ত্র। নির্বাচনপূর্ব সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির আশঙ্কায় ইতোমধ্যে সতর্ক অবস্থানে গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সঙ্গে কুমিল্লার প্রায় ১০৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিদিনই চলছে নানা ধরনের চোরাচালান কার্যক্রম। নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যেও সীমান্ত পেরিয়ে আসছে মাদক, ভারতীয় পণ্য, এমনকি অস্ত্রও।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার যশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদকের প্যাকেটের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, আমাদের সীমান্তের রাস্তা খোলা, আর নজরদারি তুলনামূলকভাবে কম। অনেক দিন ধরেই এই পথে নানা পণ্য আনা-নেওয়া হয়। এখন মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
আরেক বাসিন্দা মাসুম মিয়া বলেন, ‘নির্বাচন সামনে। এখন যারা এসব চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত, তারা সংঘবদ্ধ হচ্ছে মনে হয়। সীমান্তে আরও কঠোর নজরদারি দরকার।’ জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, গত দুই মাসে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, আমাদের হাতে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল- নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র ঢোকার চেষ্টা হতে পারে। এ কারণে সীমান্তে আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি তৎপর।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্র কোথা থেকে আসে, কারা সরবরাহ করে এসব বিষয়ে আমরা নিয়মিত নজর রাখছি। সীমান্তজুড়ে টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
বিজিবির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে কুমিল্লা সীমান্তে অন্তত ৬০ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে মাদক, আতশবাজি, পোশাক, ভারতীয় ভোগ্যপণ্য এবং আগ্নেয়াস্ত্র।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় অস্ত্র চোরাচালানকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। তাই বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ, র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এখনই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন