

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে কুয়াশা ও জনভোগান্তি সাথে দেশজুড়ে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে—মাত্র ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তরাঞ্চল থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে আগামী ৫–৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গত কয়েকদিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বয়স্করা। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে। কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে ছিল ধীরগতি; দিনমজুর ও কৃষিশ্রমিকদের কাজে বের হতে দেখা গেছে দেরিতে।
শীতজনিত রোগবালাই বেড়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. আলাউদ্দিন আল মামুন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্কদের ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা বাড়ে। এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, হালকা গরম পানি পান, গরম খাবার গ্রহণ এবং খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ও ভ্যাসলিন ব্যবহারের কথাও জানান।
এদিকে শীত বাড়তে থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমার আশঙ্কা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
