

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর’ তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
৮ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের মতিঝিল আঞ্চলিক টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ, আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই রুকনুজ্জামান জানান, রিমান্ড শেষে দেওয়া আবেদনে উল্লেখ করা হয় সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তবে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় মানবপাচার ও অবৈধ পণ্য চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য ফিলিপের সহযোগী।
তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই এবং সীমান্তপথে ভারতে পালাতে সহায়তা করার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।’
আবেদনে বলা হয়, মামলার প্রধান পলাতক আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগীরা ভারতে পালিয়ে থাকলে, এই দুই আসামির সেই পলায়নে সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা কৌশলে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি তদন্ত কর্মকর্তার।
গত ১৫ ডিসেম্বর সীমান্ত এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে আটক করে বিজিবি। পরে তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করা হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাদের ৫ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর মৃত্যুর পর মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) যুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন

