

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফরিদপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের সাতজন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাদেরকে পুনরায় বিএনপিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে দলটি। তবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও সংশ্লিষ্ট নেতাদের পূর্বের কোনো পদে পুনর্বহাল করা হয়নি। তাদের সবাইকে আপাতত বিএনপির সাবেক নেতা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.কে.এম কিবরিয়া স্বপন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার রাতেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাত নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং উপজেলা বিএনপি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর সুপারিশক্রমে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা এবং সদস্য সচিব এ.কে.এম কিবরিয়া স্বপন। একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাফিউল আলম মিন্টু, মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক মুন্নু, নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক, জাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আজাদ খান, রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মো. কাজী সিরাজুল ইসলাম, মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম এবং রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর সরদার।
এ বিষয়ে সাতৈর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাফিউল আলম মিন্টু জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে সম্মেলনের মাধ্যমে সেখানে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.কে.এম কিবরিয়া স্বপন আরও জানান, সংশ্লিষ্ট নেতারা তাদের পূর্বের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আবেদনে তারা ভবিষ্যতে দলের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না বলেও অঙ্গীকার করেছেন। উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও ধানের শীষের প্রার্থীর সুপারিশের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে তাদেরকে দলের জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
মন্তব্য করুন
