

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রায় তিন মাস পূর্বে বাল্য বিয়ে হয়েছিল সিরাজগঞ্জের তাড়াশের কিশোরী নুসরাত খাতুন (১৩)‘র। বিয়ের পর এক মাসের মধ্যে স্বামী- স্ত্রীতে দাম্পত্য কলহ, স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ ওই কিশোরী বধূর স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়িও (ডির্ভোস) হয়।
পরে নুসরাত খাতুন বাবার বাড়িতে এসে সংসার ভাঙ্গার কারণে মানুষিক ভাবে বিপদস্ত হয়ে পড়েন। পরে ছাড়াছাড়ির জ্বালা সইতে না পেরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সরাপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নুসরাত খাতুন ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
বিষয়টি তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সরাপপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম তিন মাস পূর্বে তার কিশোরী কন্যা নুসরাত খাতুনকে সিরাজগঞ্জ রোড এলাকার পাঁচিলা গ্রামে এক যুবকের সাথে বাল্য বিয়ে দেন। বিয়ের পরপরই স্বামী- স্ত্রীতে দাম্পত্য কলহ এবং স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। পরে এক মাসের মধ্যে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি (ডির্ভোস) হয়।
ছাড়াছাড়ির পর গত দুই মাস হলো কিশোরী বধূ নুসরাত বাবার বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু বাবার বাড়িতে থাকলেও তার মধ্যে সংসার ভাঙ্গার কারণে মানুষিক কষ্টও ছিল। আর তারই প্রেক্ষিতে নুসরাত রোববার দিবাগত রাতে নিজ ঘরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পাশাপাশি নুসরাতের আত্মহত্যার খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান সোমবার বিকালে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
