

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে, তাদেরই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এই হত্যার সূচনা হয়েছিল শহীদ আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর শাহাদাতের মধ্য দিয়ে। ওসমান হাদী সেই ধারাবাহিকতারই সর্বশেষ শিকার।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পৌর উন্মুক্ত মঞ্চে মরহুম শরিফ ওসমান হাদির (রহ.) মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমরা একজন দেশপ্রেমিক ও সময়ের বীর সন্তানকে হারালাম। যাদের আত্মত্যাগ ও অবদানের কারণে আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে এবং আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। ওসমান হাদীর প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণার আগুন আরও তীব্র হবে। যারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে কিংবা উপদেষ্টার আসনে বসে আছেন, তারা এই হাদীদের মতো মানুষের আন্দোলনের কারণেই সেখানে পৌঁছেছেন। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু রাষ্ট্র আজ সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আর কত ওসমান হাদীর মতো বিপ্লবী সন্তান হারাবো এই প্রশ্ন আজ জাতির সামনে। আলোচনা শেষে ওসমান হাদীর রুহের মাগফিরত কামনা করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান দোয়া করেন।
উপজেলা জামায়াতের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. নজরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, সাবেক সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আজাদ, উপজেলা প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম (মুত্তালিব), পৌর জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি বাবুল আকন্দ এবং জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি আতাউর রহমানসহ স্থানীয় ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
