

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করেছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
সোমবার (স্থানীয় সময় সকাল ৮টার পর) প্রথম ধাপে ৭ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, তবে মুক্তিপ্রাপ্তদের নাম বা পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকার বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
এই জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে গঠিত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার অংশ। গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর চতুর্থ দিনেই শুরু হয়েছে জিম্মি বিনিময়ের এই ধাপ।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার মূল তিনটি শর্ত হলো: গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান স্থগিত রাখা, ইসরায়েলি সেনাদের নির্দিষ্ট সীমান্ত পর্যন্ত সরিয়ে আনা, এবং জিম্মি ও বন্দিদের বিনিময়। এই শর্ত অনুযায়ীই প্রথম ধাপে সাতজন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন।
একই সময়ে মিসরের শারম আল-শেখ শহরে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে ট্রাম্প উপস্থিত থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন। এটি গাজার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, রোববার দিনভর হামাস ও ইসরায়েল একাধিক দফায় বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনা করে। সবকিছু ঠিক থাকলে আরও জিম্মি মুক্তি আজকের মধ্যে হতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে এখনও ৪৮ জন জিম্মি গাজায় রয়েছে। হামাস জানায়, এদের মধ্যে ২০ জন এখনও জীবিত; বাকি ২৮ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তার কারাগারে থাকা ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এর মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। এছাড়া মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
