

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


একজন ইসরায়েলি আইনজীবী জানিয়েছেন, তার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দি ক্লায়েন্টকে নিয়মিত যৌন সহিংসতা এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।
আইনজীবী বেন মারমারেলি বলেছেন, তার ক্লায়েন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই এই নির্যাতন ঘটে। এমনকি এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থায় পৌঁছেছে যে, তার ক্লায়েন্ট তাকে অনুরোধ করেছেন যেন তিনি আর তার কাছে না যান।
মারমারেলি জানিয়েছেন, ‘ধর্ষণই মূল সমস্যা নয়, বরং এটি ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর চালানো দীর্ঘমেয়াদী নির্যাতনের একটি অংশ মাত্র।’
তিনি আরও বলেন, ক্লায়েন্টের পিঠে বুটের আঘাতের দাগ, কবজিতে হাতকড়ার চিহ্ন এবং শরীরজুড়ে জখম দেখা গেছে।
যৌন সহিংসতা সাধারণত কয়েক সপ্তাহে একবার ঘটে এবং তা সাক্ষাতের পরপরই হয়।
আইনজীবী উল্লেখ করেছেন, ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দীরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বাইরের কেউ দেখতে পান না; আইনজীবীর সাক্ষাতই তাদের একমাত্র সংযোগ।
মারমারেলি দক্ষিণ ইসরায়েলের কুখ্যাত সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সেখানে বন্দিদের ওপর নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন, যৌন সহিংসতা এবং অমানবিক আচরণ করা হয় এবং সবকিছু ২৪ ঘণ্টা নজরদারি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়।
২০২৪ সালের আগস্টে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনারা মুখ নিচের দিকে শোয়ানো এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন এবং পরে দাঙ্গা দমনের ঢাল দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করছেন।
ভিডিওটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিন্দা ও সদে তেইমান আটককেন্দ্র বন্ধের দাবি তোলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর, ফাঁস হওয়া ফুটেজের দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সামরিক প্রসিকিউটর ইফাত তোমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন।
তিনি স্বীকার করেন যে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রচার প্রতিহত করতে কিছু উপকরণ প্রকাশ করা হয়েছিল। সূত্র: আনাদোলু
মন্তব্য করুন
