

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নতুন করে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণের পরিকল্পনার ঘোষণা দেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকায় তিনি এই নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এ ঘোষণার পরই রাজ্যে তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিজেপি অভিযোগ করেছে- এই উদ্যোগ ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক আবহ উত্তপ্ত করার চেষ্টা।
দলটির মুখপাত্র ইয়াসের জিলানি মন্তব্য করেন, তৃণমূল ভোটের রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছে।
এনডিটিভি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ ডিসেম্বরই অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার ৩৩ বছর পূর্ণ হবে। ফলে এই তারিখে নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
বিধায়ক হুমায়ুন কবির অবশ্য বিষয়টিকে একটি স্বাভাবিক উদ্যোগ বলেই দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মসজিদ নির্মাণে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে এবং বিভিন্ন মুসলিম নেতাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
ঘটনাটি নিয়ে কংগ্রেস দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। দলের নেতা সন্দীপ দিক্ষিত বলেন, কেউ মসজিদ নির্মাণ করলে সেটিকে বাবরের সঙ্গে যুক্ত করা ঠিক নয়; যে কেউ চাইলে উপাসনালয় গড়ে তুলতে পারে। সংসদ সদস্য সুরেন্দ্র রাজপুতও প্রশ্ন তোলেন—উপাসনালয় নির্মাণের মতো স্বাভাবিক একটি বিষয়কে কেন বিতর্কে টানা হচ্ছে?
এ নিয়ে ধর্মীয় অবস্থান পরিষ্কার করেছে অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনও। সংগঠনের প্রধান মাওলানা সাজিদ রাশিদি বলেন, একটি জায়গায় একবার মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হলে তা ধর্মীয়ভাবে স্থায়ী মর্যাদা পায়। ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাবরি নাম ব্যবহার করে শত মসজিদ তৈরি হলেও অযোধ্যার মূল বাবরি মসজিদের ইতিহাস ও তাৎপর্য বদলাবে না।
মন্তব্য করুন
