

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ধর্মস্থলে শত শত নারীকে ধর্ষণ ও মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ তোলার পর সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এসআইটি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারির কারণ হলো ‘মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ’। এই ঘটনার পর রাজ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্মস্থল শহরটি প্রাচীন মঞ্জুনাথ মন্দিরের জন্য পরিচিত। সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দাবি, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তিনি নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা করা এবং তাদের দেহ মাটিচাপা দেওয়ার কাজের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। বেশিরভাগ ভুক্তভোগী ছিলেন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
জুলাই মাসে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দেন। তার ব্যাগ থেকে একটি মানুষের খুলি বের হয় এবং তিনি দাবি করেন, এটি তার পুঁতে রাখা কোনো ভুক্তভোগীর দেহাবশেষ।
সরকার বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে। দল জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া খুলি সংশ্লিষ্ট স্থানে পাওয়া যায়নি। শনিবার তাকে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসআইটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধর্মস্থল ও আশপাশে খননকাজে দুটি স্থানে মানবদেহের অংশ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একটি খুলি এবং প্রায় ১০০টি হাড়ের টুকরো রয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে এখনও এগুলো কার দেহাবশেষ তা নির্ধারণ করা যায়নি।
মন্দিরের প্রভাবশালী হেগড়ে পরিবার অভিযোগে সরাসরি জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। মন্দিরের প্রধান প্রশাসক বীরেন্দ্র হেগড়ে বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ তদন্তের জন্য এসআইটিকে সমর্থন দিচ্ছি। আমাদের বিচার বিভাগ এবং সংস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”
রাজনীতিতেও বিষয়টি তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিরোধী বিজেপি নেতারা অভিযোগকে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়েছেন, যেখানে সরকারের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, “সত্য প্রকাশ করা হবে। প্রমাণ সাপেক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।”
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার পরিচয় এবং চেহারা গোপন রাখা হয়েছে, জনসমক্ষে তাকে কালো পোশাক, হুড ও মুখোশসহ হাজির করা হয়।
মন্তব্য করুন