

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যার নির্দেশনা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির আনন্দমিছিল করেছে।
প্রায় ৩৫ বছর গোপনে সক্রিয় থাকার পর সংগঠনটির প্রকাশ্য ব্যানারে এটি প্রথম মিছিল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ মিনারসংলগ্ন এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, অফিস সম্পাদক ও জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ সংগঠনের শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশ পরিচালনা করেন জাকসুর নির্বাচিত এজিএস ফেরদৌস আল হাসান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে কিছু শিক্ষক যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন—তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বক্তারা সতর্ক করে বলেন, বিবৃতিদাতাদের মধ্যে যেসব শিক্ষক জাবির আছেন, তারা দ্রুত নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা না করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে ভিন্নমতকে দমনে কঠোরতা দেখিয়েছেন এবং ইসলামপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা মাত্রায় নিপীড়ন চালিয়েছেন। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে বিদায় নেওয়ার পর আদালতের রায় সেই সময়কার ঘটনারই প্রতিফলন—আর এই রায় কার্যকর হলে সেটিই হবে ন্যায়বিচারের পূর্ণতা।
শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রায়ের মধ্য দিয়ে বহু পরিবার তাদের ন্যায়বিচারের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁর দাবি, জনগণের জন্য এটি প্রাথমিক বিজয়; আর চূড়ান্ত বিজয় হবে তখনই—যখন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দেশে এনে রায় বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ রায় বাংলাদেশের ওপর বিদেশি প্রভাব বিস্তারের যুগের অবসান ঘটাবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সমতার ভিত্তিতে গড়ে উঠতে হলে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরই প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
সমাবেশে জুলাইয়ের ক্যাম্পাস–সহিংসতায় অভিযুক্ত শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের দ্রুত বিচারও দাবি করা হয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, জাবিতে এ মামলার নিষ্পত্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মন্তব্য করুন