শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা বিএনপির

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ
expand
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় আলাদা প্রক্রিয়া, একটির সঙ্গে আরেকটিকে শর্তসাপেক্ষ করা উচিত নয়।

রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, বিচারও নির্দিষ্ট সময়সীমায় বাঁধা যায় না। তবে নির্বাচনকে কোনো অবস্থাতেই শর্তাধীন করা যাবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত সময়ে ভোট না হলে তা শুধু দেশের জন্য নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তারও ঝুঁকি তৈরি করবে।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে বিএনপি সবচেয়ে বেশি নির্যাতন ও অবিচারের শিকার হয়েছে। গুম, হত্যা ও দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটেছে। তবুও বিচার চলবে—এটাই তাদের অঙ্গীকার। তবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেরি বা অনিশ্চয়তা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে সুযোগ করে দিতে পারে, যা জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে ৮২৬টি প্রস্তাবনা কমিশনে জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫১টির সঙ্গে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে এবং প্রায় ১১৫টির ক্ষেত্রে ভিন্নমতসহ পরামর্শ দিয়েছে। বাকিগুলো নিয়ে আংশিক বা পূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে—এমন কিছু রাখা হবে না।

তিনি আরো বলেন, সাংবিধানিক সংস্কারের কিছু ইস্যুতে ভিন্নমত থাকলেও বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের আইনি ব্যাখ্যা নিয়ে এগোনো সম্ভব।

তিনি জানান, বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় যেতে প্রস্তুত, তবে সনদটি যেন নিখুঁতভাবে তৈরি হয় সেটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি জাতীয় ও ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি নিয়েও আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে আপিল বিভাগের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে আদালতে কোনো প্রশ্ন উঠলেও বলা যায়—সেটি বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতেই করা হয়েছিল।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা কমিশন দিতে পারে। তবে যদি কোনো নাগরিক এটি নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলে, তবে আন্তর্জাতিকভাবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। তাই সঠিক পরামর্শ নিয়ে অগ্রসর হওয়াই শ্রেয়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন