

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিএনপি এখনো জোটসঙ্গী দলগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় পৌঁছায়নি।
এতে কিছুটা অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে শরিকদের মধ্যে। তারা মনে করছেন, সময় যত বাড়বে, বিএনপির প্রার্থীদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত মানানো ততই কঠিন হবে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা আশঙ্কা করছেন, শরিক দলের নজরে থাকা আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন।
ফলে পরবর্তীতে আসন ছাড়তে বললে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা শরিকদের জন্য বেকায়দার কারণ হতে পারে।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে (মাদারীপুর-১ আসন স্থগিত রাখা হয়)। ঘোষণার পরই প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন, যার কারণে সারাদেশে নির্বাচনি উত্তাপ তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আসন সমঝোতা নিয়ে জোটসঙ্গীরা নতুন করে ভাবনায় পড়েছেন।
বুধবার থেকে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি শরিক রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু করেছে। প্রথম দিন রাতে বৈঠক হয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বৈঠক হয় ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য প্রাথমিকভাবে ২২টি আসন বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে:
জোট গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের জন্য ৫টি আসন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৫টি, ১২ দলীয় জোট ৩টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ১টি, গণঅধিকার পরিষদ ২টি, এলডিপি ২টি।
এছাড়া, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও গণফোরামকে ১টি করে আসন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন নেতাকে প্রার্থিতার বিষয়ে মৌখিক ইঙ্গিত দেওয়া হলেও এখনো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। কারও নাম বাদ পড়লে তাকে ভবিষ্যতে ‘উচ্চকক্ষের দায়িত্বে’ বিবেচনা করার কথাও ভাবছে বিএনপি।
মন্তব্য করুন
