শুক্রবার
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পহেলা অগ্রহায়ণ নববর্ষ পালনের ঘোষণা ডাকসুর

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১২ পিএম
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নেতারা বক্তব্য রাখেন
expand
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নেতারা বক্তব্য রাখেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ঘোষণা দিয়েছে, তারা পহেলা অগ্রহায়ণকে ‘নববর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করবে।

যদিও বাংলা বছরের শুরুতে বৈশাখ মাসে নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্য রয়েছে, এবার ডাকসু এই উদ্যোগে ইতিহাসের ভুলে যাওয়া প্রথা মনে করানোর চেষ্টা করছে।

ডাকসু এবং চারুকলায় ‘বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’ যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজনের ঘোষণা শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের মূল দিন নির্ধারিত হয়েছে রোববার, ১৬ নভেম্বর, যা প্রচলিত রীতির বিপরীতে পহেলা অগ্রহায়ণ উদযাপন করবে।

ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুসাদ্দিক ইবনে আলী মোহাম্মদ জানান, অগ্রহায়ণে নববর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়ার কারণ হলো, এটি বাংলার প্রাচীনকাল থেকে পালন করা হয়ে আসা আদি উৎসব।

তিনি বলেন, “বাংলা বছরের ১২ মাসের মধ্যে একমাত্র অগ্রহায়ণ মাসটি নক্ষত্রের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। এটি বাংলার ইতিহাস, স্মৃতি এবং কিছু বিস্মৃত তথ্যের সঙ্গে মিশে আছে।”

ডাকসু নেতা আরও জানান, প্রাচীনকালে নববর্ষের উৎসব ‘আমানি’ বা ‘নবান্ন’ উৎসব হিসেবে পালন করা হতো, যা মূলত কৃষকের উৎসব ছিল।

সম্রাট আকবরের শাসনামলে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে বৈশাখকে বাংলা বছরের প্রথম মাস হিসেবে প্রচলন করা হয়, তবে বাংলার মানুষ বৈশাখকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে উদযাপন করেনি।

ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক বলেন, “বর্তমান প্রজন্ম প্রায় ভুলে বসেছে যে এককালে পহেলা অগ্রহায়ণই ছিল আদি নববর্ষ। তাই আমরা নবান্ন উৎসবকে আদি নববর্ষ হিসেবে উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।”

অনুষ্ঠানমালা

প্রথম পর্ব: রঙতুলিতে নবান্নের থিমে ছবি আঁকা হবে, সকাল ১০টায় শুরু। দেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এবং চারুকলার শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবেন।

দ্বিতীয় পর্ব: ‘আদি নববর্ষ আনন্দযাত্রা’। এটি উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব। আয়োজনের জন্য তিনটি মোটিফ তৈরি করা হচ্ছে—জুলাই, জেলেবেলার জীবন এবং কৃষি জীবন। গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন উপাদানও এতে উপস্থাপিত হবে।

তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অতিথিদের শুভেচ্ছা বিনিময়। ‘বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’-এর সদস্য ও অন্যান্য সংগঠনের অংশগ্রহণে আবৃত্তি, গান, নাচ ও জাদু পরিবেশনা হবে। অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে গুণী শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীত ও পালাগান অনুষ্ঠিত হবে।

উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক ইবনে আলী মোহাম্মদ, সমাজসেবা সম্পাদক এবি যুবায়ের, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ এবং বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের সভাপতি মৃন্ময় মিজান।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন