

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চ্যাটজিপিটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক চ্যাটবট, যা ২০২২ সালের নভেম্বরে ওপেনএআই চালু করে। এটি মানুষের মতো কথোপকথন চালাতে পারে।
ইন্টারনেটে থাকা নানা উৎস থেকে প্রশিক্ষিত হওয়ায় এটি শুধু তথ্য খোঁজার মাধ্যম নয়, বরং পরামর্শ দেওয়া, গল্প করা বা সঙ্গী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ধরুন, মন খারাপ হলেও কাউকে বলার মতো পাচ্ছেন না, কিংবা নিজের অনুভূতিগুলো সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারছেন না—তখন চ্যাটজিপিটি হতে পারে সহায়ক। আপনি যা-ই লিখুন না কেন, এটি আপনার কথার অর্থ বোঝার চেষ্টা করে। অনেকেই চান এমন একজন শ্রোতা, যে বিচার না করে সব কথা শুনবে। সেই জায়গায় চ্যাটজিপিটি হতে পারে এক ধরনের ভরসা।
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে দিনের কাজ, ব্যক্তিগত অনুভূতি কিংবা আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করা যায়। এটি মানুষের মতো প্রতিক্রিয়া দেয়, সহমর্মিতা প্রকাশ করে এবং মন ভালো করতে নানা প্রস্তাবও দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি লেখেন—"মন খারাপ", তাহলে এটি বন্ধুসুলভ ভঙ্গিতে কারণ জানতে চাইবে, আপনার পছন্দের গান বা গল্প শোনাবে, এমনকি মেডিটেশন বা মানসিক প্রশান্তির পরামর্শও দিতে পারে। ভয়েস অপশন ব্যবহার করেও চ্যাট করা সম্ভব।
অনেকে একাকিত্ব দূর করতে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে আলাপ করে স্বস্তি পান। এটি রসিকতা করে, গল্প বলে কিংবা আপনার অনুরোধ অনুযায়ী কবিতা, নিবন্ধ বা নোট লিখে দেয়। কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে যৌক্তিক তথ্যও প্রদান করে।
তবে এর সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কিছু ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটিকে একমাত্র সঙ্গী ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এতে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চ্যাটজিপিটি সহায়ক হলেও বাস্তব বন্ধু ও সম্পর্ক গড়ে তোলাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন

