

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলের ক্যান্টিনে টাকা না দিয়ে খাওয়া এবং বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় ভর্তি পরবর্তী পুনরায় হলে বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের জন্য ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বরাবর ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ ও ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদের প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাবির প্রশাসনিক ভবনস্থল উপাচার্য কার্যালয়ে তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তাদের অভিযোগ "ফ্যাসিবাদের সময় নির্যাতনের কারনে নিয়মিত পড়াশোনা করতে না পারা বিশেষ বিবেচনায় ভর্তি ও সিট প্রদান করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন অপকর্মের কারণে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী এবং দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে থেকেও প্রথম বর্ষ উত্তীর্ণ হতে না পারা শিক্ষার্থী রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে বাধা ও হুমকি স্বরূপ এবং হলের শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের সাথে হলে অবস্থান করতে আগ্রহী নন"
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড.নিয়াজ আহমদ খান ডাকসু নেতাকর্মীদেরকে বলেন,"এটি কোন ভাবেই আমার একার সিদ্ধান্তে বাস্তবায়িত হয়নি, তাছাড়া তোমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই বিষয়টি দুইটি ভাগে বিবেচনা করা হবে। প্রথমত নীতিগত কারণ আর দ্বিতীয়ত ব্যক্তি বিবেচনা"
ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন,"বিগত সময়ও আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বছরের পর বছর রি-এড নিয়ে হলে সিট দখল করে থাকতে দেখেছি। এবং হলে অবস্থানকৃত শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভুত্ব কায়েম করার নজিরও ছিল। আমরা এই সংস্কৃতিকে পুনরায় ফিরে আসতে দিতে পারি না।
ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলের ভিপি আবু নাঈম বলেন, শুধু এদের মধ্যে ২০০৬-৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও রয়েছে যারা প্রথম বর্ষে পুনরায় ভর্তি হয়েছেন। আমাদের নবাগত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা যাদের বয়স ২১ কিংবা ২২ তাদের সাথে ৩৭ বা ৩৮ বছর বয়সের আদু ভাই হলে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন