

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া সীমান্ত দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চোরাচালান।
উল্লেখযোগ্য হারে আসছে মিয়ানমারের গরু, মাদক ও চোরাই পণ্য। দেশ থেকে যাচ্ছে নিত্যপণ্য এবং জ্বালানি তেল।
এসব চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ দিচ্ছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি।
স্থানীয়দের কাছে পুলিশের ‘অঘোষিত ক্যাশিয়ার’ নামে পরিচিত মো. ফোরহান ওরফে সোহেল (২৮) চোরাকারবারিদের কাছ থেকে দিনে দুই লাখের বেশি টাকা চাঁদা আদায় করছেন।
এসব টাকা গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শোভন কুমার সাহা ভাগ-বাঁটোয়ারা করছেন; যা থেকে দিনে লাখ টাকার বেশি আয় হচ্ছে তার।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও একজন জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, গর্জনিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে ভোজ্যতেল, চাল-ডাল, পেঁয়াজ-রসুন, সিমেন্ট ও বিভিন্ন নিত্যপণ্য।
ওপার থেকে আসছে ইয়াবা, আইসসহ মিয়ানমারের গরু। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যাওয়া বিভিন্ন পণ্যের বস্তা প্রতি ৫০০ টাকা ও মিয়ানমার থেকে আসা প্রত্যেক গরু থেকে দুই হাজার টাকা; ক্ষেত্রবিশেষে আরও বেশি চাঁদা নিচ্ছে পুলিশ।
বিশেষ করে গরুর বহরে লুকিয়ে আনা হয় ইয়াবা ও আইসের চালান। মিয়ানমারের একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী কম দামে গরুর সঙ্গে ইয়াবা ও আইসের চালান পাঠিয়ে বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও জ্বালানি নেয়।
প্রতিদিন প্রকাশ্যে অবৈধ পণ্য পরিবহন হলেও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কোনও তৎপরতা নেই। উল্টো নিয়মিত চাঁদা নেওয়ার মাধ্যমে চোরাকারবারিদের নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছেন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শোভন কুমার সাহা।
ফাঁড়ির সদস্যদের মদতে গর্জনিয়া বাজার ও আশপাশের সড়কে অবৈধভাবে চলা প্রতি মোটরসাইকেল থেকে এক হাজার, টমটম থেকে দুই হাজার, আর জিপ বা পিকআপ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আনা প্রতিটি গরুর জন্য গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নামে দুই হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়।
কোনও কোনও দিন ১০০ গরু এলে চাঁদার টাকার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন পুলিশ সুপার
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর আমি এখানে যোগ দিয়েছি। পুলিশ ফাঁড়ি তো দূরের কথা এখনও কোথায় কোন থানা তা আমি জানি না।
সব থানার ওসির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়ে উঠেনি। তারপরও যদি গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ অপরাধ করে কারও পার পাওয়ার সুযোগ নেই।’
মন্তব্য করুন

