

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পরকীয়া সম্পর্কের জেরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আবরাহাম খান ওরফে আলিম খান (২৫) নামে এক যুবককে নারায়ণগঞ্জে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় মো. রুহুল আমিন ওরফে রাব্বি (২৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রাব্বি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার চর-আফড়া গ্রামের মুনজু শেখের ছেলে ও নিহত যুবক আলিম খান এর প্রেমিকা মরিয়ম আক্তারের ভাগ্নে এবং একই সঙ্গে তার আরেক প্রেমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আলিম খান রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর দুর্লভদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি মো. ওয়াজেদ খানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর আলিম খান ঢাকায় কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার শ্রীনিবাসদী এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ১৮ ডিসেম্বর আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের চার দিনের মাথায়, ১৯ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে মো. রুহুল আমিন ওরফে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার আসামির খালা মরিয়ম আক্তারের সঙ্গে নিহত আলিম খানের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে আলিম খান মরিয়ম আক্তারকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন।
পিবিআইয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এরই জেরে রাব্বি ও তার খালা আলিম খানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মরিয়ম আক্তারকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে আলিম খানকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডেকে আনা হয়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় এবং ঘটনাটি আড়াল করতে আলামত গোপনের চেষ্টা করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ হত্যাকাণ্ডে আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, মরিয়ম আক্তার রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের পারনারায়ণপুর এলাকার প্রবাসী মেবারক মন্ডলের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের কোলানগর গ্রামে। কয়েকদিন আগে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে বোনের ছেলের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর আলিম খান হত্যার খবর পায় তার পরিবার। ১৮ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করা হয় এবং ১৯ ডিসেম্বর রাতে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
