

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের এক উদ্যোক্তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তির নাম মওদুদ আহমেদ শাওন (৩৫)। তিনি মোহনগঞ্জ পৌরশহরের টেংগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ঝর্ণা আক্তার–এর স্বামী।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাফিজুল ইসলাম হারুন জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শাওনকে নেত্রকোনা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বুধবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনের একটি দোকান থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শাওন দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী উদ্যোক্তার পরিচয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে অন্য জেলার ১৩ জন নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরি করেন। প্রাথমিকভাবে তাঁদের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজিব মিয়া বাদী হয়ে শাওনের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয় পাল জানান, শাওনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলেও আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসি আরও জানান, অভিযুক্ত শাওন দাবি করেছেন—তিনি যে সাইটটি ব্যবহার করতেন, সেটির ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়েছিল। তবে প্রাথমিক তদন্তে তাঁর এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন বলেন, বাইরের জেলার ১৩ জন ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন এখানকার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা হয়েছে—এমন তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে। তদন্তে বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলার অন্য কোথাও যাতে এ ধরনের অনিয়ম না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরদারিতে থাকবে।
মন্তব্য করুন
