

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নরসিংদীর মাধবদীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক ছাত্রদলকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদী থানার নোয়াপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রদলকর্মীর নাম জাহিদুল ইসলাম (২৫)। তিনি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। জাহিদুল জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন এবং পেশায় সেকেরচর হাটের একজন ব্যবসায়ী।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার রাতে জাহিদুল জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাঁর মুঠোফোনে একটি ফোনকল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জরুরি প্রয়োজনে মাধবদীর নোয়াপাড়া এলাকায় যেতে বলা হয় তাঁকে। ফোনের কথা অনুযায়ী তিনি নোয়াপাড়ায় পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘিরে ধরে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুরি দিয়ে জাহিদুলের বুকে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন,
“জাহিদুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর বুকে ছুরিকাঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন,
“রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশি তদন্ত চলছে। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, জানাজা ও দাফন শেষে থানায় এসে মামলা করবেন।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে—তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
