

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের মালেক খান ব্রিজ সংলগ্ন সরদার বাড়িতে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সরদার পরিবারের কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সরদার পরিবার প্রায় একশ বছর ধরে উক্ত জমিতে বসবাস করে আসছে। শনিবার সকালে সেরাজল সরদার তার পৈত্রিক সম্পত্তির ঘরের পাশে বাথরুম নির্মাণ শুরু করলে প্রতিপক্ষ বারেক খাঁ ও তার সহযোগীরা বাধা দেন। এ সময় বহিরাগত ৫০ থেকে ১০০ জনকে নিয়ে এসে সরদার পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, হাঁটার রাস্তার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খাঁ ও সরদার পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছে। জমি একাধিকবার মাপজোখ করা হলেও খাঁ পরিবার কোনো জমি পায়নি। জোর করে রাস্তার পিলার উঠিয়ে ফেলে এবং তারা রাস্তায় গাছ লাগিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বারেক খাঁ ও তার ছেলে শাহজাহান খাঁ ফারুক আওয়ামী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের ঘর নির্মাণে আগেও বাধা দিয়েছেন। এমনকি ঘর তোলার সময় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সরদার পরিবারের কয়েকজন আহত হন। পরে তারা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
ভুক্তভোগী সেরাজল সরদার বলেন, “আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর তুলতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি জীবননাশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য ভীষণ আতঙ্কের বিষয়।”
তিনি আরও জানান, “আমার বাবার কেনা জমিতে বারেক খাঁর ভাই শরীফ খাঁ প্রায় চার দশক ধরে কোনো দলিলপত্র ছাড়াই তিন শতাংশ জমি দখল করে রেখেছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্যরা একাধিকবার সমাধান করলেও তারা দখল ছাড়ছে না।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, খাঁ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে প্রভাব বিস্তার করছে। সরকারি ওয়াবদা জমি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মাটি সরিয়ে ফেলছে। এবং তারা জমি দখল ও লুটপাটের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তারা বলেন, “আমরা আইনের শাসন চাই। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং দখলদারদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
মন্তব্য করুন