

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শীতে কাঁপছে কিশোরগঞ্জের মানুষ। টানা তিন দিন ধরে জেলার নিকলী উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় পুরো এলাকায় শীতের তীব্রতা চরম আকার ধারণ করেছে। হাওর অধ্যুষিত এ উপজেলায় অব্যাহত মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে, সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নিকলীতে তাপমাত্রা নেমে আসে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা সেদিন সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। পরদিন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নিকলীতেই দেশের সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ধারাবাহিকভাবে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালেও নিকলীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এদিনও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, টানা তিন দিন ধরে দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে নিকলীর চেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যদিও মঙ্গলবার শীতের তীব্রতা রোববার ও সোমবারের তুলনায় সামান্য কমেছে, তবুও জেলার ওপর দিয়ে এখনও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসজুড়েই শীতের এই প্রভাব অব্যাহত থাকতে পারে।
টানা শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত নিবারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দিনমজুর, রিকশাচালক, হাওর শ্রমিক ও ছিন্নমূল মানুষজনকে চরম কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় অনেকেই কাজের জন্য ভোরে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।
এ সময় জেলার হাওরাঞ্চলে বোরো ধান আবাদ শুরু হওয়ায় কৃষকরাও পড়েছেন নতুন করে দুর্ভোগে। ভোরের ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জমিতে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম মাছুম ও টেলিপ্রিন্টার অপারেটর বদরুল আমিন খান টিপু এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আপাতত শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
মন্তব্য করুন
