রবিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও বেতন-ভাতা গ্রহণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১১ পিএম
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা
expand
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা

শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কার্যসহকারী মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টানা পাঁচ বছর বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, অবৈধভাবে পুনর্বহাল হওয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।

শামীম আহমেদ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার উম্মে সালিক রুমাইয়া শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসককে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কার্যসহকারী মো. নুরুল ইসলাম চাকরিতে যোগদানের পর দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে তিনি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর কোনো ধরনের ছুটি কিংবা কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ১৫ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে চাকরিচ্যুতির বিধান থাকলেও তার ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হয়নি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ পাঁচ বছর অনুপস্থিত থাকার পরও ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই তিনি পুনরায় পৌরসভায় যোগদান করেন। এরপর অবৈধ পন্থায় ওই সময়ের পাঁচ বছরের বকেয়া বেতন-ভাতা আদায় করে নেন।

নুরুল ইসলাম শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র এমএফ আহমেদ অলির খালাতো ভাই ও বোন জামাই হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ ও পুনর্বহাল লাভ করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

২০১৬ সালে মেয়র পরিবর্তনের পর দুর্নীতি প্রকাশ ও শাস্তির আশঙ্কায় তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করে একটি মুদি দোকান পরিচালনা শুরু করেন। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের পৌরসভা নির্বাচনে এমএফ আহমেদ অলি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি আবারও নিয়ম বহির্ভূতভাবে কার্যসহকারী পদে যোগদান করেন এবং পাঁচ বছরের বকেয়া বেতন-ভাতা আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে চাকরির সুবাদে তিনি একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কথার বাইরে কেউ চললে তাদের নানাভাবে হয়রানি ও মারধরের শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি ও নাগরিক হয়রানি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছেন নুরুল ইসলাম।

এবিষয়ে অভিযোগকারী শামীম আহমেদ বলেন, আমি পৌরসভার একজন নাগরিক এবং ভুক্তভোগী হিসেবে অভিযোগ দিয়েছি। আশাকরি কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X