


নাম তার হাবিব, বয়স মাত্র ১১ বছর। বাপ-দাদার ভিটেমাটি আর নাড়ির টান দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভাগ রংপুরে। সেখানেই তার জন্ম, সেখানেই বেড়ে ওঠা। হাবিব যখন মাতৃগর্ভে তখন অনাগত সন্তানের আগমনে এক পবিত্র স্বপ্ন বুনেছিলেন বাবা-মা; তারা নিয়ত করলেন ‘তাঁদের সন্তান হবে কোরআনে হাফেজ, বুকে ধারণ করবে ঐশ্বরিক মহান বাণী’।
সেই স্বপ্ন বুকে নিয়েই অভাবের সংসারে চাঁদের আলো হয়ে জন্ম নিয়েছিল হাবিব। টানাপোড়েনের সংসার, তবু নিয়ত আর স্বপ্নের পথে অটল ছিলেন বাবা-মা। সাধ্যের সবটুকু দিয়ে হাবিবকে ভর্তি করানো হলো স্থানীয় এক হাফেজি মাদ্রাসায়। বাড়িতে যখন হাবিবের কচি কণ্ঠে পবিত্র কোরআনের সুর বাজত, তখন অভাবের জঠরজ্বালাও যেন ম্লান হয়ে যেত। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গে হাবিবের মাদ্রাসায় খরচও বাড়তে থাকলো৷ আর্থিক অনটন পৌছে গেলো চরমে। হঠাৎ ই ঘটলো ছন্দপতন। চরম আর্থিক সঙ্কট ও পারিবারিক অসচেতনতায় পড়াশোনা ইস্তফা দিয়ে মাদ্রাসা ছাড়তে বাধ্য হলো শিশু হাবিব।
পেটের দায়ে অভাবের তাড়নায় হাবিব বাবা মায়ের সাথে পাড়ি জমায় দেশের অপর প্রান্তে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনায়। তারপর বাবার সঙ্গে এখানকার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দেয় সে। আগামী ছয় মাসেরর বেশি সময়ের জন্য তার ঠিকানা ধুলো-বালি আর বিষাক্ত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পোড়া মাটির ঝাঁঝাল গন্ধে ভরা ইটভাটায়। যে বয়সে দুরন্তপনায় মেতে থাকার কথা, দুপুরের ভাতঘুম শেষে বন্ধুদের সাথে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা, কিংবা সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনার কথা সেই বয়সে হাবিবের কোমল কাঁধে চেপেছে সংসারের ভারী বোঝা।
বরগুনা সদর উপজেলার কুমড়াখালী এলাকার একটি ইটভায় সন্ধান মেলে এই হাবিবের। বাবা মায়ের সঙ্গে এখানে কাজ করে সে। তার মা ইসমত আরা শ্রমিকদের রাধুনি হিসেবে ভাটাতেই থাকেন। তারসঙ্গে কথার ফাঁকে তিনি বলেন, “বাবু (হাবিব) যখন পেটে তখন আমরা নিয়ত করি ছেলেকে হাফেজ বানাবো। বাবু একটু বড় হওয়ার পর তাকে মাদ্রাসায় দিয়ে দেই। কিন্তু দিন দিন সংসারে অভাব বাড়তে থাকলে মাদ্রাসার খরচ দিতে পারিনা। পরে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে এসে কাজে দিয়ে দেই। সুযোগ পেলে আবারো পড়াবো।”
ইটভাটার শিশু শ্রমিক হাবিবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভাটায় কাজ করতে হয় তার। প্রতি সপ্তাহে ১২০০ টাকা চুক্তিতে ৬ মাস কাজ করতে হয়। যার দৈনিক পারিশ্রমিক ২০০ টাকা, মাসিক হিসেব দাড়ায় মাত্র ৪ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়াও এসব ভাটায় কাজ করতে খুবই কষ্ট হয় তার। সুযোগ পেলে, পরিবারে অভাব কেটে গেলে লেখাপড়া করে চাকরি করে বাবা মার পাশে দাড়াতে চায় সে। এই গল্প শুধু হাবিবের একার নয়; এ গল্প হামিদ, আল আমিন, সুজন, নাঈমসহ বরগুনার ইটভাটা গুলোতে কাজ করা সকল শিশুদের। এসব ভাটায় ইটের সাথে পাল্লা দিয়ে পুড়ছে কাজ করা শিশুদের সোনালি শৈশব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা জেলায় বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ৭০ টিরও বেশি ইটভাটা রয়েছে। প্রায় প্রতিটি ভাটাতেই কোনো না কোনো কাজে যুক্ত আছে শিশুরা। স্থানীয় শিশুদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাজ করতে বরগুনার ইটভাটাগুলোতে এসেছে তারা। এসব শিশুরা সর্দারদের (শ্রমিক সরবারহকারী) সঙ্গে চুক্তিবন্ধ। শ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক কম দেয়া, শিশু শ্রমিকদের সঙ্গে বাজে আচরণ করা, কাজ করতে বাধ্য করা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন সহ নানান অভিযোগ রয়েছে এসব সর্দারদের বিরুদ্ধে।
বরগুনা সদরের কুমড়াখালী এলাকার কয়েকটি ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, এসব ইটভাটায় কর্মরত মোট শ্রমিকদের এক তৃতীয়াংশই শিশু। যাদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছর। বর্তমানে অসংখ্য শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এদের কেউ কেউ ইট সাজাচ্ছে, শুকাতে দিচ্ছে, কেউ ইটের মাটি বহন করছে, ধুলোবালি পরিষ্কার করছে। এই শিশুরা রংপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে এসেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চরম দারিদ্রতা ও পারিবারিক অসচেতনতার কারণেই এই বয়সেই শিশুরা পড়াশোনা ছেড়ে কঠোর পরিশ্রমের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। ইটভাটার এসব কাজ অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ও কষ্টসাধ্য। যা দীর্ঘমেয়াদে তা এই শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আরোও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে কথা বলতে চাইলে বেশিরভাগ শিশুরাই সর্দারের ভয়ে কোনো ধরনের কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। দুই একজন সাহস করে কথা বললেও তাদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সুজন, আল আমিন, হামিদ নামে এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, তাদের কেউ কেউ স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো। তবে পরিবারের অভাব চরমে থাকায় তারা ইচ্ছের বিরুদ্ধে ঝুঁকিপুর্ন এসব কাজে যুক্ত হচ্ছে। আর্থিক সচ্ছলতা ও সুযোগ পেলে তারা আবারো পড়াশোনা করতে চায়।
বরগুনার কুমড়াখালী এলাকার এসবিসি ব্রিকসের শ্রমিক সরবারহকারী সর্দার মো. আলম বলেন, “আমি তো ওদের (শিশু) কাজ করাইতেছি না। ওদের অভাবের কারণে ওরা কাজ করতে আইছে। টাকাপয়সাও চুক্তির মাধ্যমে হয়। যেমন কাজ করবে তেমনই বেতন। এখানে ইট উল্টানো আছে, ধন্দা পাকানো আছে, ইট কাটা আছে। ইট উল্টানোর কাজ এগুলো ছোটরাই করে। বড়রা করতে পারে না। যারা গরিব তারাই করে।”
শিশুদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার এর সাধারণ সম্পাদক রাসেল রুহান বলেন, “আমরা বরগুনা জেলার বিভিন্ন ইটভাটা পরিদর্শন করেছি। সেখানে গিয়ে আমরা সরজমিনে দেখেছি যে এখানে অধিকাংশই শিশুরা কাজ করছে। তারা যে সকল কাজ করে তাতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তারা আর্থিক অনটনের কারণে এসব কাজ করছে। সরকারের কাছে জোড়ালো দাবি হলো এই সকল শিশুদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানপূর্বক তাদেরকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনর্বাসিত করার ব্যবস্থা করা হয়।”
শিশুদের নিয়ে কাজ করা আরেকটি স্থানীয় সংগঠন উসসাস এর প্রধান নির্বাহী অলিউল্লাহ্ ইমরান বলেন, “বরগুনার ইটভাটাগুলোতে দেখেছি শিশুরা অল্প অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। দেশে শিশুশ্রম আইন আছে, কিন্তু আইনটির প্রয়োগ খুবই কম। যদি এটি বাস্তবায়ন করা হয় এবং এই শিশুদেরকে পুনর্বাসনের জন্য যদি সরকার ভালো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে এই শিশুরা শিক্ষার দিকে ধাবিত হবে এবং আমাদের এই বাংলাদেশ এগিয়ে নিবে।”
ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (NCTF) এর বরগুনা শাখার সাবেক সভাপতি ও শিশু সংগঠক রাইমু জামান বলেন, ”এখন আমাদের প্রযুক্তি, আধুনিকায়ন, নতুন নতুন উদ্ভাবনের বিষয়ে কথা বলার সময়; কিন্তু আমাদের কথা বলতে হচ্ছে শিশুশ্রমের মত একটা সামাজিক ব্যাধি নিয়ে। শিশুশ্রমে যেমন শিশুদের শারীরিক প্রভাব পরে, পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও অনেক বড় ধরনের প্রভাব পরে। একটা শিশুর বেড়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তার শৈশবটা। কিন্তু এসব ইটভাটা কিংবা কল কারখানায় তারা তাদের মৌলিক অধিকার ও বেড়ে ওঠার পরিবেশ পাচ্ছে না। শিশুদের এমন সঙ্কটের পেছনে দায়ী দারিদ্রতা আর সামাজিক অসচেতনতা। শিশুশ্রমে যুক্ত সকল শিশুদের সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনা আমাদের সকলের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। পাশাপাশি এসব ইট ভাটাগুলোতে শিশু শ্রম বন্ধে স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা যেতে পারে, যারা শিশু শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে কি না তা তদারকি করবে।”
দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারী এর নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা হাসি বলেন, “ইট ভাটা নিরাপদ জায়গা না। এখানকার পরিবেশ, লোকজনের আচরণ খুবই খারাপ। এখানে কাজ করা শিশুরা এগুলো দেখে বড় হচ্ছে। অন্যদিকে তাদের লেখাপড়া হচ্ছে না। শিশুশ্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে অপরাধ এবং যারা শিশুদের দিয়ে ঝুকিপূর্ণ কাজ করান তারা প্রত্যেকেই এটার জন্য অপরাধী। তারপরেও এসবের জন্য আমি সরকারের উদাসীনতাকেও দায়ী করবো। শিশুরা কোথায় আছে, কত শিশু বেওয়ারিশ হয়ে আছে, কত শিশু অনাহারে আছে এসব সরকার ট্রাকিং করছে না। এই সব শিশুরা একটা সময় দস্যু হিসেবে অপরাধ জগতে ঢুকে গিয়ে অপরাধ জগতের সাথে মিশে যাচ্ছে। এই শিশুদেরকে যদি সরকার টেক আপ করতে পারতেন তবেই কিন্তু আমাদের শিশুরা এরকম বখে যেত না। এসব শিশুদের প্রণোদনার আওতায় এনে যথাযথ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগের দাবি জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের যেকোনো পেশা বা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোররা ঝুঁকিমুক্ত হালকা কাজ করতে পারে, তবে শর্ত হলো সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা-২০১০-এ বলা হয়েছে সরকার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের জন্য সুনির্দিষ্ট কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল এবং ২০২৫ সালের মধ্যে চূড়ান্তভাবে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু শ্রম বন্ধে আইন প্রণয়ন হলেও এর প্রয়োগে ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মনিটরিং ও পরিদর্শন কার্যক্রম পর্যাপ্ত না হওয়ায় অহরহ এ আইনের লঙ্ঘন হয়। দারিদ্র্য এবং অসচেতনতাও এই সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে।
এ ব্যাপারে গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদা রওনক খান বলেন, “ শিশুশ্রমের কারণে এমনিতেই শিশুদের শৈশব চুরি হয়ে যায়। আর শৈশব চুরি হওয়া মানে হচ্ছে একটি জাতির সুনাগরিক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া। ইট ভাটায় যে শিশুরা কাজ করে তাদের অবস্থা তো আরও নাজুক। তারা তাদের মানসিক, শারীরিক এবং অন্যান্য সকল বিকাশ থেকে বঞ্চিত হয়। সরকারকে এই জায়গায় স্টেপ বাই স্টেপ অনেকগুলো কাজ করতে হবে। প্রথমত হচ্ছে একটি শিশু ইটভাটায় কাজ করে যে পরিমাণ অর্থ আয় করে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ উপবৃত্তি হিসেবে দিয়ে শিশুটিকে স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।”
ড. রওনক বলেন, “আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অনেকগুলো বিষয় যদি স্টেপ বাই স্টেপ যদি করা যায় তখনই আসলে এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বাচ্চারা স্কুলে যাবে। এছাড়াও এসব ইট ভাটা যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে ইট ভাটার মালিক পক্ষ যারা তাদেরও উচিত এই যে শিশুদেরকে তারা শ্রমে নেন তাদের শিক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করা। অর্থাৎ সমাজকে অনেক মানবিক হতে হবে, তাহলেই সম্ভব এই অসচ্ছল পরিবারের বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠানো এবং শিক্ষিত করা, এবং শিক্ষিত করার মধ্য দিয়েই জাতি আসলে শিক্ষিত একটা জনগোষ্ঠী পাবে।”
বরগুনার ভাটাগুলোতে শিশু শ্রম রোধে প্রশাসনের ভুমিকা জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক বলেন, “আমি ভেরি রিসেন্টলি জয়েন করেছি। শিশু শ্রমিকরা যে এখানে কর্মরত আছে এই বিষয়ে আমার কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য ছিল না। দেশে শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেশ কিছু আইন আছে, পাশাপাশি ইউনিসেফের একটা সহায়তায় প্রোগ্রাম কর্মসূচি আছে। আইন এবং বিধি অনুযায়ী শিশু শ্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। পাশাপাশি এসব শিশুদের যাতে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়, সেই বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ নেয়ার যে সকল সুযোগ আছে, সেগুলো আমরা অবশ্যই যাচাই করে দেখব।”
যে কচি হাতগুলোতে বই-খাতা থাকার কথা, অভাবের তাড়নায় সেখানে চেপেছে আজ তপ্ত ইটের ভারী বোঝা। কাগজে কলমে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও সমাজের নির্লিপ্ততা আর রাষ্ট্রের উদাসীনতায় এই শিশুরা আজ অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সামাজিক উদ্যোগ আর রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার সমন্বয়ে ইটভাটায় কাজ করা এসব শিশুদের পুনর্বাসন না করা গেলে তাদের ভবিষ্যৎ ইট ভাটার ছাইয়ের নিচে চাপা পড়েই থাকবে।
মন্তব্য করুন