সোমবার
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় শিশুদের বৃত্তি পরীক্ষার নামে মানসিক চাপ বন্ধে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
সাতক্ষীরায় শিশুদের বৃত্তি পরীক্ষার নামে মানসিক চাপ বন্ধে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি
expand
সাতক্ষীরায় শিশুদের বৃত্তি পরীক্ষার নামে মানসিক চাপ বন্ধে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি

প্লে ও কেজি শ্রেণির শিশুদের ওপর বৃত্তি পরীক্ষার নামে মানসিক চাপ ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় জেলা শিশু কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) দিনভর অ্যান্টি চাইল্ড ম্যারেজ অর্গানাইজেশন, স্ক্রিপ্টিস্পায়ার এবং ন্যাশনাল ব্রাইটেন অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে স্মারকলিপি জমা দেন সুদীপ্ত দেবনাথ, করিমন নেছা শান্তা এবং শাশ্বত বিশ্বাস।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু কোচিং সেন্টার যেমন বেসিক কোচিং সেন্টার, মেরিট শিক্ষা পরিবার প্লে ও কেজি শ্রেণির শিশুদের নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করছে। তারা এটিকে ‘মেধা যাচাই’ হিসেবে প্রচার করলেও বাস্তবে মাত্র ৪-৫ বছর বয়সী শিশুদের অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে শিশুদের মধ্যে ভয়, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে, যা তাদের স্বাভাবিক বিকাশে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই বয়সে শিশুদের শিক্ষাজীবন হওয়া উচিত খেলা, গল্প, গান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখার আনন্দময় সময়। অথচ বর্তমানে তাদের ওপর বৃত্তি ও ফলাফলের চাপ সৃষ্টি করে মানসিক নির্যাতনের নতুন রূপ তৈরি করা হচ্ছে, যা শিশু অধিকার আইন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ অনুসারে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের জন্য আনন্দভিত্তিক ও ভালোবাসাপূর্ণ শেখার পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা থাকলেও বাস্তবে কোচিং নির্ভর ‘বৃত্তি পরীক্ষা সংস্কৃতি’ সেই নীতির পরিপন্থী বলেও তারা অভিযোগ করেন।

স্মারকলিপিতে চারটি দাবি উত্থাপন করা হয়, ১. প্লে ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার নামে মানসিক নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ। ২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলোর কার্যক্রমের ওপর প্রয়োজনীয় নজরদারি। ৩. প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় আনন্দভিত্তিক শিক্ষণ পদ্ধতি নিশ্চিতকরণ। ৪. শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জেলা পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম আয়োজন।

সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে করিমন নেছা শান্তা বলেন, এই বয়সে বৃত্তি পরীক্ষা প্রয়োজন হলে সরকার নিজেই উদ্যোগ নিতো। কিন্তু এখন এই পরীক্ষাগুলো সামাজিক চাপ তৈরি করছে, অভিভাবক ও শিশু উভয়েই এতে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন