বৃহস্পতিবার
০১ জানুয়ারি ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
০১ জানুয়ারি ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুরুজের জোড় নিয়ে তাবলীগের মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত

টঙ্গী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর
expand
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে খুরুজের জোড়সহ কোনো ধরনের সমাবেশ বা অনুষ্ঠান আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখা থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম)-এর মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, আমাদের মুরুব্বিগণ সবসময় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

তিনি বলেন, “আগামী ০২, ০৩ ও ০৪ জানুয়ারি ২০২৬ অনুষ্ঠিতব্য খুরুজের জোড়ে যারা অংশগ্রহণ করতেন, অর্থাৎ যারা আল্লাহর রাস্তায় চিল্লা ও ০৩ চিল্লার জন্য বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাদেরকে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে জমায়েত না হয়ে তাদেরকে নিজ নিজ জেলা ও এলাকা থেকেই বের হওয়ার জন্য মুরুব্বিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যারা পাঁচ দিনের জোর থেকে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছিলেন তাদেরকেও ইজতেমা মাঠে এখন না এসে ওয়াক্ত পুরা করে আসার জন্য মুরুব্বিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। টঙ্গী মাঠে কোনো ধরনের সমাবেশ হচ্ছে না।”

তিনি আরও জানান, খুরুজের জোড় উপলক্ষে টঙ্গী মাঠে যে প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছিল, তা ইতোমধ্যে খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে একটি টিম ও বিষয়গুলা পর্যবেক্ষণ করেন।

অতীতের কয়েকটি সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন—প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাদপন্থীরা একাধিকবার সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত তাবলীগের সাথিদের ওপর হামলায় প্রায় পাঁচ হাজার সাথি আহত হন। একইভাবে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পুনরায় হামলায় চারজন সাথি শহীদ হন এবং শতাধিক সাথি আহত হন। উভয় ঘটনার ক্ষেত্রেই সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি ছিল। এসব প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে নেক্কারজনক হামলার মাধ্যমে তাবলীগের মেহনতকে দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সাদপন্থীরা।

তিনি বলেন, এসব জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পক্ষ নৈতিক ও নীতিগতভাবে ইজতেমা মাঠে কোনো ধরনের জোড় বা ইজতেমা আয়োজনের অধিকার হারিয়েছে। ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল যে, সাদপন্থীরা নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ইজতেমা করতে পারবে, তবে পরবর্তী বছরগুলোতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে কোনো ধরনের ইজতেমা বা তাবলীগি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। যেহেতু তারা গতবছর ইজতেমা সম্পন্ন করে, অর্থাৎ ইজতেমা করার মাধ্যমে তারা শর্তকে মেনে নিয়েছে।

হাবিবুল্লাহ রায়হান আরো বলেন— সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X