

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, “আমি জানি না বাপের মতো বেটিরও কপাল আছে কিনা। বাপ স্বতন্ত্র ছিলেন, বেটিও স্বতন্ত্র—সময়ই এর উত্তর দেবে।”
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুল্লা আবর আলী বাজার খেলার মাঠে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, “আমার বাবা ১৯৭৩ সালে আপনাদের বাপ-দাদার ভোটে স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তখন শেখ হাসিনার বাপ শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাপকে জিততে দেয়নি।”
তিনি শহিদ ওসমান হাদীর জানাজার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আজ ঢাকায় তাঁর জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল। জানি না, ওসমান হাদীর পর কার নাম আছে—এই প্রশ্ন আমাদের সবাইকে নাড়া দেয়।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনকে বানচাল করতে পতিত স্বৈরাচারের লোকজন যেমন চেষ্টা করছে একি ভাবে দেশের ভিতরে ও কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নাই।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানা লুটের অবৈধ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি—এটা বড় উদ্বেগের বিষয়।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, “প্রার্থীদের অস্ত্র দেওয়ার কথা বলে মূলত মবকে আইনি বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ।”
নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমার রাজনীতির আদর্শ ও পথপ্রদর্শক বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এ দেশের মানুষের পালস বোঝেন। আমি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ—এখানকার মানুষ যা বলবে, আমি তাই করবো। আমি ছিলাম, আছি এবং থাকবো।”
মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মনোনয়ন আমি কিনবো না। এই মনোনয়ন আমার এলাকার ভোটারদের। তারা যদি মনে করেন, তবেই সেটা আমার হবে।”
গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনের দিন আপনারা মাঠে থাকবেন। সামান্য অনিয়ম দেখলেও তাৎক্ষণিক জানাবেন। আপনাদের হাতে থাকা মোবাইল ও ক্যামেরাই সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।”
নিজের নিরাপত্তা নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমার এত ভাই যদি আমাকে নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তবে সেটাই আল্লাহর ফায়সালা—আর আমি সেটাকেই উত্তম মনে করি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. মালু মিয়া। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
