

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন (সিওআই)।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন— হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কোনো সংঘাত বা যুদ্ধে যে কর্মকাণ্ডগুলো করলে তা গণহত্যা বলে গণ্য হয়, গাজার ক্ষেত্রে এমন পাঁচটি কাজের চারটিই করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে একটি জাতির সদস্যদের হত্যা করা, তাদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করা, ইচ্ছাকৃতভাবে সেই জাতিকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত পরিস্থিতি তৈরি করা এবং জন্ম রোধ করা।
একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, তাদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করা, ইচ্ছাকৃতভাবে গোষ্ঠীটিকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত পরিস্থিতি তৈরি করা এবং জন্ম রোধ করা।
এর প্রতিটি ইসরায়েল, গাজায় করেছে বলে দাবি করা হয়েছে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে। এমনকি ইসরায়েলের নেতাদের বিবৃতি এবং তাদের সেনাবাহিনীর আচরণের ধরনকে গণহত্যার প্রমাণ হিসাবেও উল্লেখ করেছে।
যদিও এই প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এটিকে "বিকৃত এবং মিথ্যা" বলে নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরায়েলের একজন মুখপাত্র জাতিংঘের তদন্ত কমিশনের তিন বিশেষজ্ঞকে হামাসের প্রক্সি হিসেবে কাজ করা এবং "সম্পূর্ণরূপে হামাসের মিথ্যাচারের উপর নির্ভর করার" অভিযোগ করেছেন।
২০২৩ সালের সাতই অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বে আক্রমণে অন্তত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় একটি অভিযান শুরু করে।
অঞ্চলটির হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, তখন থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
তাদের দাবি, গাজার জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে; ৯০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এছাড়া তীব্র খাদ্য সংকটে গাজায় দুর্ভিক্ষ চলছে বলেও উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন