

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মাত্র দুদিন আগে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। শুক্রবারের সেই কম্পনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও তিনবার আফটারশক রেকর্ড হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শঙ্কা এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি—এই মাসেই আরও কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
এদিকে রোববার (২৩ নভেম্বর) এশিয়ার তিনটি দেশে বড় ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।
সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে প্রবল কম্পনে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দাওয়েই শহর থেকে ২৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে আন্দামান সাগরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
একই দিনে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মালুকু প্রদেশের হালমাহেরা অঞ্চলও ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূকম্পন সংস্থা (বিএমকেজি) জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রও ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে। এখানেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য মেলেনি।
এর আগে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তার পরদিন শনিবার (২২ নভেম্বর) দেশে আরও তিন দফা মৃদু কম্পন অনুভূত হয়, যা আফটারশক হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পনবিদ্যা কেন্দ্র (এনসিএস) জানায়, বাংলাদেশের মতো মিয়ানমারেও শনিবার একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে ৩ দশমিক ৫, সকাল ৭টা ১৯ মিনিটে ৩ দশমিক ৭ এবং রাত ১১টা ১ মিনিটে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। এসব কম্পনেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
