

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফয়সালাবাদের ধীরগতির ও নিচু বাউন্সের উইকেটে পাকিস্তানি স্পিনারদের ঘূর্ণিতে টিকতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওয়ানডেতে মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান।
শনিবার অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ম্যাথিউ ব্রিটজকে। ব্যাট হাতে শুরুটাও হয়েছিল আশাব্যঞ্জক ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াস গড়েন ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু সেই ভালো সূচনা দ্রুতই পরিণত হয় ধসে; শেষ আট উইকেট হারায় মাত্র ৩৭ রানে।
এই বিপর্যয়ের মূল কারিগর পাকিস্তানের লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার ৪ উইকেটে ২৭ রানে ভেঙে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল ও লোয়ার অর্ডার।
ম্যাচের শুরুতে নতুন বলে আক্রমণে আসেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও সাঈম আয়ুব। প্রথম চার ওভারেই দেন মাত্র ১০ রান। পঞ্চম ওভারে শাহিনের ব্যাক-অফ-দ্য-হ্যান্ড ডেলিভারিকে দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেন ডি কক, টানা দুটি চার মেরে আত্মবিশ্বাসী শুরু দেন।
নিষেধাজ্ঞা শেষে দলে ফেরা হারিস রউফ সপ্তম ওভারে বল হাতে পেয়ে প্রায় উইকেট তুলতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু স্লিপে ফিল্ডার না থাকায় প্রিটোরিয়াসের এজ হয়ে যাওয়া বলটি চলে যায় বাউন্ডারিতে। পরের ওভারেই পরপর দুটি চার মেরে চাপ সৃষ্টি করেন প্রিটোরিয়াস।
অবশেষে ১৫তম ওভারে আঘা সালমান লং-অফে প্রিটোরিয়াসকে (৩৯) ক্যাচ করান। এরপর টনি ডি জরজিকেও ফেরান একই বোলার।
এদিকে অভিজ্ঞ ডি কক দলকে একাই টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিনই তিনি ৭০০০ ওয়ানডে রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মাত্র ১৫৮ ইনিংসে, যা হাশিম আমলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় দ্রুততম অর্জন। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে রিভার্স সুইপে চার মেরে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি, তবে দুই বল পরেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।
এরপর মাঠে শুরু হয় আবরারের ‘ম্যাজিক’। মাত্র দুই ওভারে টপ ও মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন তিনি। তার গুগলি বুঝতে না পেরে ডেবিউ করা রুবিন হারম্যান বোল্ড হন, পরের বলেই ডোনোভান ফেরেইরা সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্টাম্পে আঘাত করেন, আর করবিন বোশ প্রথম বলেই নিচু বাউন্সে বোল্ড হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’-এর শিকার হন।
শেষ দিকে হ্যাটট্রিক না পেলেও অধিনায়ক ব্রিটজকেকে ফিরিয়ে দেন আবরার, যা কার্যত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পরিসমাপ্তি টেনে দেয়।
শেষ ব্যাটারদের কিছুটা প্রতিরোধের পর শাহিন আফ্রিদি ৩৮তম ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস গুটিয়ে দেন।
ফয়সালাবাদের ধীর পিচে পাকিস্তানি স্পিনারদের নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ ও বৈচিত্র্যের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ে সিরিজ জয়ের আনন্দে ফয়সালাবাদে উৎসবের আমেজে মাঠ ছাড়ে বাবর আজমের দল।
মন্তব্য করুন
