শনিবার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসমান হাদির হত্যা: বিচার দাবিতে রেমিট্যান্স বন্ধের ঘোষণা

এনপিবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
ওসমান হাদি
expand
ওসমান হাদি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। গুলি করার পেরিয়েছে ১৬ দিন। এরমধ্যে গ্রেফতার হয়নি হত্যাকারী। ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ ঘোষণা করেছেন প্রবাসীরা।

হত্যাকারীর গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু বিচারের আগ পর্যন্ত ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাবে না বলে একাধিক দেশ থেকে প্রবাসীরা আন্দোলন শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সম্পর্কিত ক্যাম্পেইনও শুরু করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বিগত স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের পরে বাংলাদেশপন্থীদের সবচেয়ে বড় মুখগুলোর একটি ছিলেন শহীদ শরিফ ওসমান হাদি। চলতি মাসের ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর গুলিবিদ্ধ হন তিনি। দেশে চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুর। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাৎ বরণ করেন ওসমান হাদি।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মূল ঘাতককে গ্রেফতার করা যায়নি। ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলারও ঘটনা ঘটে। এ হত্যার বিচারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগে আন্দোলন করছে। তবুও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল করিম দাউদকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গ্রেফতারে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগও নেয়নি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর প্রতিবাদে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ ঘোষণা করেন। সম্প্রতি এ ক্যাম্পেইন বড় হচ্ছে।

রাফায়েত নামের একজন প্রবাসী বাংলাদেশি তার ফেইসবুক আইডিতে লেখেন, ‘আমি আমার উপার্জনের টাকা বাংলাদেশে পাঠাবো না। শুনতে হাস্যকর লাগবে কারো কাছে। আমি একজন নগণ্য মানুষ যে অল্প পরিমাণ রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠাই। তবে আমি একা নই, আমার মত আরো হাজার হাজার বাংলাদেশি ঠিক এমনটাই ভাবছেন। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল ওসমান হাদি হত্যার। আমরা এ সময়টাকে মাস কিংবা বছরে পরিণত হতে দিতে পারি না। উন্মুক্ত অবস্থায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় এবং জনগণ এর উপযুক্ত বিচার দাবি করে। এইটা শুধু ওসমান হাদির জন্য না। এটা আমাদের সবার জন্য। আমি, আমার পরিবার, আমার সন্তান সবার নিরাপত্তার জন্য। আমরা সুবিচার চাই। আমরা ভয়হীন একটি জীবন যাপন করতে চাই।’

তার এই পোস্টের মন্তব্যে শতাধিক বাংলাদেশিকে একাত্মতা পোষণ করতে দেখা গেছে। রাফায়েতের সঙ্গে আরো অনেকেই দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশে কর্মরত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার এবং উচ্চমানের চাকুরিধারীরা।

এর পাশাপাশি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা তাদের উপার্জন আনা বন্ধ ঘোষণা করেছে। ডিজাইন মনকস এর প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমান তার ফেইসবুক আইডিতে একই ঘোষণা দেন। তিনি সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন সরকারকে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X