

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজাস্থল মানিক মিয়া এভিনিউ নেতা-কর্মী সাধারণ মানুষের আগমনে এখনই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর দুপুর ২টার দিকে মানিক মিয়া এভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মানিক মিয়া এভিনিউ ও সংসদ ভবন এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক দিয়ে মানুষের স্রোত আসছে।
জিয়াউর রহমানের সমাধি সৌধ এলাকায় বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। বেগম খালেদা জিয়াকে স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়াকে দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে এখানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এখন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ রয়েছে গুলশানে। আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে আনা হয়।
গুলশানে ১৯৬ নম্বর বাসায় যেখানে বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উঠেছেন সেখানে এখন খালেদা জিয়ার মরদেহ রয়েছে।
সেখানে পরিবারের সদস্য, স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়াকে। পাশেই রয়েছে ফিরোজা নামের বাড়ী। যেখানে বেগম খালেদা জিয়া বসবাস করতেন।
গুলশানে তারেক রহমান রহমানের বাসভবন ও ফিরোজার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন বেগম খালেদা জিয়া । তিনি দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে শোকে স্তব্ধ বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন

