সোমবার
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুয়া খেলায় বাধা, স্কুলছাত্রের ফোন ছিনতাই অভিযুক্ত যুবদল নেতা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম
মোহনগঞ্জ থানা
expand
মোহনগঞ্জ থানা

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় এক স্কুল ছাত্রের স্মার্টফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা মাসুদ খান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। আজ রোববার মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার রাতে এ অভিযোগ করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. শুভ্র খান (১৪)। শুভ্র উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরকাটা গ্রামের মাসুদ খানের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আর অভিযুক্ত ছিনতাইকারী একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে বাবু খান (৩৩)। তিনি একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য।

অভিযোগ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্কুলছাত্র শুভ্র গত ১০ নভেম্বর বিকালে বাড়ির সামনে মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। এসময় বাবু খান অনলাইনে জুয়া খেলার জন্য শুভ্রকে তার স্মার্টফোনটি দিতে বলে। এতে বাধা দেওয়ায় ছুরি ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে স্মার্টফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় বাবু। পাশাপাশি বাবু ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়ে বলে- , এ কথা কাউকে বলবি না। আর তোকে যদি এলাকায় দেখি তাহলে জবাই করে গুম করে ফেলব। প্রাণের ভয়ে ওই শিক্ষর্থী বাড়ি থেকে অন্যত্রে পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে শুভ্র'র চাচা হাসান খান বলেন, ঘটনা শুনে পরদিন বাবুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। পরে আশপাশের লোকজন তার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। বাবু এলাকায় জুয়া খেলে, নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করে।

শুভ্রর বাবা মাসুদ খান বলেন, অভিযোগ দেওয়ার পর একদিন পুলিশ এলাকায় এসেছিলো। বাবু খানকে পেয়েও তাকে থানায় যাওয়ার কথা বলে চলে গেছে। পরে বাবু আর থানায় যায়নি। এদিকে ছেলেটা আমার ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাবু খানের ব্যবহৃত মোবাইলফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বাবু খানের দলীয় পদের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এলাকার কেউ বাবুর দায়িত্ব নিতে চাইছে না। এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবুকে থানায় ডাকা হয়েছিলো, আসেনি। গতকাল তার খুঁজে এলাকায় গিয়েছিলো পুলিশ। দ্রুত তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন