ভালুকায় দীপুকে পোড়ানোর আগে গাছে ঝুলানো সেই যুবক গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাস (২৭) নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিককে নির্মমভাবে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিবির ইসলাম অনিক (২০) নামে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত অনিক নিহত দীপুকে গাছে ঝুলিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে দীপু হত্যা মামলায় ১৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গ্রেফতারকৃত অনিক ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা (মধ্য ভাটিবাড়ি) গ্রামের মো. কালিমুল্লাহর ছেলে। তিনি ভালুকার একটি ফ্যাক্টরিতে নিটিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যার পর রশি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ দেখতে পায়, সাদা শার্ট পরিহিত এক যুবক দীপুর নিথর দেহ রশি দিয়ে টেনে গাছের ওপর তুলছে। প্রযুক্তির সহায়তায় সেই যুবককে শনাক্ত করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অনিক পলাতক ছিলেন।

তাকে ধরতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ ঢাকার বনানী ও গাজীপুরের চেরাগআলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী দল।

অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অনিক যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন ঘটনার পর থেকেই তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতারের পর তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত কারাগারে পাঠান। তবে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ সুপার।

এর আগে গ্রেফতার হওয়া ১৮ জন আসামির মধ্যে ১২ জনকে ৩ জন দিন করে এবং বাকি ৬ জনকে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১২ জন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।