

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতের সময় অশ্রুসিক্ত হন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিভিন্ন চুক্তি ও পানি আগ্রাসন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আবরারের হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সেই আবরারের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে তিনি মোনাজাত করেন এবং আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের গোরস্থানে ভিপি সাদিক কায়েম শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পৌঁছান। রাত ১১টা ৫ মিনিটে তারা আবরারের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ, স্থানীয় জনগণ এবং শিবির ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা বরকত উল্লাহর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এরপর সাংবাদিকদের সামনে সাদিক কায়েম বলেন, আবরার ফাহাদ শুধু একজন ছাত্র ছিলেন না, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং আমাদের জন্য প্রেরণার বাতিঘর।
তিনি অভিযোগ করেন, আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত’ ছাত্রলীগের হাতে আবরারকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। আবরার যে চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তা থেকেই জুলাইয়ের আন্দোলনের প্রেরণা এসেছে বলে তিনি দাবি করেন।
ভিপি সাদিক আরও বলেন, অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং সাংস্কৃতিক দাসত্বের সময় আবরার সবকিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।
সেই স্মৃতিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, “আমাদের শহীদরা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জীবন দিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।” তা না হলে অতীতের শাসকদের মতোই কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভিপি সাদিক কায়েম ও তাঁর সঙ্গীরা কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় শিবিরের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
