

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি ( ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি লটারিতে মিস জুলেখা খাতুন নামে এক বালিকার নাম প্রকাশিত হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিদ্যালয়টি শুধুমাত্র বালকদের জন্য হলেও তালিকায় একটি মেয়ে শিক্ষার্থীর নাম আসায় অনেকে লটারির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। বেলা ২টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে এবং স্কুল নোটিশ বোর্ডে ফলাফল জানানো হয়।
প্রকাশিত তালিকায় চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি (দিবা শিফট) ভর্তি তালিকার ৭১ নম্বর সিরিয়ালে উঠে আসে ‘মিস জুলেখা খাতুনের’ নাম।
ফলাফল প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও অভিভাবকদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কয়েকজন অভিভাবক জানান, ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতি বছরই কিছু না কিছু সমস্যার অভিযোগ ওঠে। এর আগেও জেলার দুটি বালক-বালিকা বিদ্যালয়েও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ডিজিটাল লটারিতে এমন ভুল হওয়া আরও উদ্বেগজনক। এ ঘটনা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যেহেতু ভর্তি লটারির পুরো প্রক্রিয়া ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই যদি বালক বিদ্যালয়ের তালিকায় বালিকার নাম আসে, এটি ঢাকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশোধন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১২ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির লটারিতে সাবিহা ইসলাম নামে এক বালিকার নাম আসে। এছাড়া এক শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার এসেছিল।
এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও এক শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার এসেছে। ফলে অভিভাবকদের মধ্যে লটারি কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন
