

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকে কাতর দেশ। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সারাদেশে পালিত হচ্ছে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। আর শোকের প্রথমদিন ছিল একদিনের সাধারণ ছুটি।
দেশজুড়ে যখন এই অবস্থা, ঠিক এমন সময়ে উপজেলা পরিষদের সরকারি পুকুর থেকে প্রশাসনের মাছ তোলা এবং তা গরীব-দুঃখীদের বঞ্চিত করে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে ভাগাভাগির উৎসব জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
শোকের প্রথম দিন বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে এসব মাছ উত্তোলন করেন উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বরাদ্দকৃত অর্থে প্রতিবছর বিশাল এই পুকুরে মাছ অবমুক্ত করে থাকে উপজেলা প্রশাসন। হয় বিশাল বিশাল মাছ। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওই সব মাছ উত্তোলনের পর তা গরীব, দুঃখী, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ এবং এতিমখানায় বিতরণের কথা থাকলেও তা যথাযথ অনুসরণ না করে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের পাহারায় ভ্যানে করে মাছভর্তি বস্তাগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ভাগাভাগি করে নেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পরিষদের পুকুর থেকে মাছ উত্তোলন করা হয়। পরে এসব মাছ কর্মকর্তা ও অফিস স্টাফদের মধ্যে মোট ৩২ ভাগে ভাগ করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, অন্যান্য উৎসবের মতো মাছ ধরাও একটি উৎসব। যেখানে দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক চলছে, সেখানে 'হৈ হুল্লোড়' করে মাছ ধরা এবং তা যথাযথভাবে গরীব-দুঃখীদের মাঝে বিতরণ না করে শুধু স্টাফদের মাঝে এভাবে ভাগ করে নেওয়ার এমন ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঈফফাত জাহান তুলি বলেন, গত দুই বছর ধরে মাছ না তোলায় বড় হয়েছে কি না তা দেখার জন্য কিছু মাছ তোলা হয়েছিল। পরে যখন আবার তোলা হবে, তখন গরীব-দুঃখীদের বিষয়টি দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
