

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা বর্তমানে চরম সংকটে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি জনবল সংকট এবং সক্রিয় দালাল চক্রের কারণে কার্যক্রমে থমকে গেছে। এক্সরে, অপারেশন থিয়েটারসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ থাকায় প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষ সরকারী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত ১৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৮ জন। একইভাবে ২৫ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সের মধ্যে মাত্র ১৩ জন কার্যরত। সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ক্ষেত্রে; রেডিওলজিস্টসহ ১৫টি পদই শূন্য। ফলে এক্সরে এবং অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি থাকলেও সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এ সুযোগে কিছু বেসরকারি হাসপাতালের দালাল রোগীদের ভুল বুঝিয়ে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে প্রলুব্ধ করছে। মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে; সিম্পল থেকে গ্রিভিয়াস বা গ্রিভিয়াস থেকে সিম্পল দেখানোর নামে রোগীদের ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, জরুরি বিভাগে প্লাস্টার বা সেলাই করাতেও ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। গ্লাভস, তুলা ও অন্যান্য সামগ্রী কেনার অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগও এসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সুমন ভূইয়া বলেন, “পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় আমাদের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এক্সরে ও অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত থাকলেও টেকনোলজিস্টের অভাবে সেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা দালাল চক্র চিহ্নিত করতে কাজ করছি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত জনবল নিয়োগ এবং দালাল চক্র দমনের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন, না হলে উপজেলার মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত হবে।
মন্তব্য করুন
