

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে টানা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন দিন দিন আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করলেও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও দীর্ঘ সময় ধরে ঘন কুয়াশা থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, যানবাহন চালক, শিশু ও বয়স্করা। আজ
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সড়ক, মাঠ ও ঘাট ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় দৃষ্টিসীমা নেমে আসে অতি সীমিত পর্যায়ে। ফলে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তবে দুপুরের দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকেই আবার শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে বৃষ্টির মতো শিশির পড়তে দেখা গেছে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে সকালবেলায় অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। বিশেষ করে দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো ও জ্বালানি জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ১১ ডিসেম্বর। সেদিন তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও বর্তমানে তাপমাত্রা আবার নিম্নমুখী হচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও উচ্চ আর্দ্রতার কারণে শীতের প্রকোপ আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
