

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি বিতর্কিত ভিডিওকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত তিন টিকটকারকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৯ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা মুচলেকা দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে ধারণ করা মাত্র ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গত ১৫ ডিসেম্বর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নারায়ণডহর এলাকার জামিয়া বদরুল হুদা খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার সামনে এক যুবক স্কেটিং করতে করতে ভ্যানে যাতায়াতকারী এক মেয়েকে উত্যক্ত করছে।
একপর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে থাকা ব্যাগ দিয়ে ওই যুবককে আঘাত করা হলে সে মেয়েটিকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দেয়। অনেকেই এ ধরনের ভিডিও নির্মাণকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ঘটনার পরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান খান বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারণ করা হয়। ভিডিও ধারণ করেন রোমান। স্কেটিং করা যুবকের ভূমিকায় ছিলেন রাকিব হাসান (২০) এবং মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন হানিফ (২০)। হানিফ ও রোমান আপন দুই ভাই। তাঁদের বাড়ি নারায়ণডহর গ্রামে; তাঁরা ওয়াসিম মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথাকথিত ‘ফানি ভিডিও’ তৈরি করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়।
যদিও ভিডিও নির্মাতাদের দাবি, এটি বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল, তবে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
মন্তব্য করুন
