

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের জেরে ছড়িয়ে পড়া সহিংস বিক্ষোভে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। পার্লামেন্টে হামলা, রাজনীতিকদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। এ পরিস্থিতি ভারতের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাঠমান্ডুর অস্থিরতা অনেককে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার ২০২২ সালের আন্দোলন এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটকে। তিন প্রতিবেশী দেশে একের পর এক রাজনৈতিক পতন বা অস্থিরতা ভারতকে কৌশলগতভাবে চাপে ফেলছে।
নেপালের সঙ্গে ভারতের ১,৭৫০ কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত রয়েছে। উত্তরাখণ্ড, সিকিম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত এই সীমান্তের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহও মূলত ভারতের ওপর নির্ভরশীল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেপালের সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকও করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, শ্রীলঙ্কার মতো এবারও ভারত অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছে। বিশেষ করে অলি দিল্লি সফরের মাত্র এক সপ্তাহ আগে পদত্যাগ করায় ঘটনাটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতে প্রায় ৩৫ লাখ নেপালি বসবাস ও কাজ করেন, অনেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতেও কর্মরত। পাশাপাশি নেপালের ধর্মীয় স্থানগুলোতে প্রতিবছর হাজারো ভারতীয় হিন্দু ভক্ত তীর্থযাত্রায় যান। ফলে নেপালের অস্থিতিশীলতা ভারতের ভেতরেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নেপালে নতুন নেতৃত্ব কে আসবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ভারতের জন্য এটাই বড় চ্যালেঞ্জ—অত্যন্ত কৌশলগতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে প্রতিবেশী অঞ্চলে নতুন করে কোনো বড় সঙ্কট তৈরি না হয়।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    