বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের গুম ও নির্যাতনের বিচার নিয়ে জাতিসংঘের বার্তা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ পিএম
expand
বাংলাদেশের গুম ও নির্যাতনের বিচার নিয়ে জাতিসংঘের বার্তা

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন একটি “জবাবদিহির পথে বড় পদক্ষেপ।” ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটি মামলায় “মানবতাবিরোধী অপরাধ” ধারা প্রয়োগ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে রয়েছে সাবেক ও বর্তমানে কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা ডিজিএফআই এর সাবেক মহাপরিচালক এবং র‍্যাবের সাবেক কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কয়েকজন অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলছেন, এসব অভিযুক্তদের স্বাধীন ও যোগ্য বেসামরিক আদালতে দ্রুত হাজির করা উচিত, যেন বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত হয়।

তিনি আরও বলেন যে বিচার প্রক্রিয়ার সময় আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মনোযোগ দেয়া হবে ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার প্রতি।

২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষর করেছে, এবং আইসিটি আইন সংশোধন করেছে; এর ফলে গুম একটি আইনত স্বীকৃত অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

তুর্ক জোর দিয়েছেন, আগের সরকারের সময় থেকে ঝুলে থাকা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। যেসব ব্যক্তিদের অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে — বিশেষ করে গুম থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা, সাংবাদিকরা, সাবেক সরকারের সমর্থকরা — তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেছেন, কোনও মামলায়ই মৃত্যুদণ্ডের পথ বেছে না নেওয়া উচিত, যতই অপরাধ গুরুতর হোক না কেন।

এইভাবে বিচারপন্থা শুধু অভিযোগ বা শাস্তিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, সত্য উদঘাটন, ক্ষতিপূরণ, নিরাময় এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে — যাতে অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন পুনরাবৃত্তি না হয়। সরকারের প্রতি তুর্কের আহ্বান হলো: আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন