

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মনে করেন, দেশের মানুষের মধ্যে সততা ও সম্ভাবনা থাকলেও কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনীতিবিদের কর্মকাণ্ড জাতীয় অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে।
রোববার মহাখালীর বিএমআরসি ভবনে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মতামত দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ সৎ ও নৈতিক- গত বছরের ৫ আগস্টের ঘটনার পর তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুপস্থিত থাকলেও কোথাও বিশৃঙ্খলা বা লুটতরাজ হয়নি, যা মানুষের চরিত্র সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেয়।
তার দাবি, সমস্যার মূল কারণ সাধারণ জনগণ নয়, বরং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির অনৈতিক আচরণ।
কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারদের কম বেতনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের আয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে মৌলিক ব্যয়ই মেটানো কঠিন।
জনস্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যেন সম্মানজনকভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, সে দায়িত্ব সরকারের- এ কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত বেতন না পেলে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে না।
শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বল দিক নিয়েও কথা বলেন তিনি। তার মতে, শিক্ষার মান, দিকনির্দেশনা এবং দক্ষ শিক্ষকতার অভাবে অনেক শিক্ষার্থী ঠিকমতো বিকশিত হতে পারে না।
কোচিং নির্ভরতা সমাজে বৈষম্য বাড়ায়, আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা শিশুরা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের বোঝায় পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে—যে শিশুদের জনসম্পদ হওয়া উচিত ছিল।
তিনি উপজাতি, পেশা বা সম্প্রদায়ভিত্তিক বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই পরিবেশে বেড়ে উঠেও সমাজ কেন বিভাজিত হয়- এ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ঐক্য না থাকলে কোনও জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে উদ্যোগের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ১০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হবে। সরকারের দায়িত্বে থাকুন বা না থাকুন- এ জনসেবার কাজ আগামী এক বছরের মধ্যেই বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ডা. শফিকুর রহমানের ভাষায়, রাজনীতি মানুষের সেবা করার স্থান। তিনি বলেন, ‘শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার যাত্রী হতে চাই না, বরং যাত্রা শেষ করে মানুষের কাজে লাগতে চাই।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দায়িত্ব পেলে জনগণের অধিকার আদায়ে কাউকে আর আলাদা করে আন্দোলন বা আবেদন করতে হবে না—রাষ্ট্রই তা নিশ্চিত করবে।
মন্তব্য করুন

